জুমার দিন গোসল করার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রচলিত ধর্মমতগুলোর মধ্যে, ইসলামই শারীরিক সুস্থতার প্রতি সবিশেষ জোর দিয়েছে। বিভিন্নভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছে। আর জুমার দিনে পরিচ্ছন্ন থাকার ওপর আরও বেশি গুরুত্ব আরও দিয়েছে। নবীকরিম (সা.) বলেছেন,‘প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির উপর জুমার দিন গোসল করা ওয়াজিব (আবশ্যক)। (বুখারী-মুসলিম)
হাদিসে ওয়াজিব বলে, গুরুত্ব বোঝানো হয়েছে। গোসল না করলে গুনাহ হবে বিষয়টি এমন নয়। নবীজি প্রতি জুমার দিনেই খুব সুন্দর করে গোসল করতেন। সামাজিকভাবেও এ গোসলের গুরুত্ব বোঝা যায়। এদিন মসজিদে অন্যদিনের তুলনায় মানুষ বেশি হয়। অপরিচ্ছন্ন পোষাক আর অগোসল শরীরে মসজিদে গেলে পাশে বসা মুসল্লীদের কষ্ট হতে পারে। তার নামাজ-ইবাদতে বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে।
জুমার দিনে গোসল করে তাড়াতাড়ি মসজিদে গেলে অনেক সওয়াবের ভাগীদারও হওয়া যায়। আবু দাউদ শরিফের একটি হাদিসে এসেছে, জুমার দিন যে ব্যক্তি ভালভাবে গোসল করলো, তারপর তাড়াতাড়ি মসজিদে গেলো, কোনও বাহনে না চড়ে হেঁটে মসজিদে গেল, ইমামের কাছাকাছি গিয়ে মনোযোগ দিয়ে তার কথা (খুতবা) শুনলো, অনর্থক কোনও কথা বললো না: সে প্রতিটি কদমের জন্যে, এক বছর নামাজ-রোযার সওয়াব পাবে।
একটা সহজ আমলে এতবড় সাওয়াব অর্জন! আমাদের ইবাদত-বন্দেগীর মধ্যে অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়ে থাকে। তবে এতো সহজ একটি আমলের মাধ্যমে আল্লাহপাক আমাদের জন্য এতো বড় সাওয়াব রেখেছেন তাই আমরা একটু চেষ্টা করলেই এই সওয়াব লাভ করতে পারি। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন।
0 comments:
Post a Comment