ম্যাচের আগে একটি পরিসংখ্যান সবাইকে বিস্মিত করেছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যে ব্যাটসম্যানের টেস্ট গড় ৬১.৩৩, ওয়ানডেতে সেটা ২৮-এ নেমে আসে কীভাবে! তামিম ইকবাল সেই বিস্ময়টা ভুলিয়ে দিচ্ছেন। তামিমের ফিফটিতে ২৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২ উইকেট হারিয়ে ১৫০। তামিম ব্যাট করছেন ৭১ রানে।
২০১০ সালে যেবার ৫০ পেরিয়েছিলেন তামিম, সেবার ১২৫ রান করে থেমেছিলেন। অন্য ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় চট্টগ্রামে সেদিন বাংলাদেশ জয় পায়নি। আজকের ফিফটিটা সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারুন না আর না পারুন, ম্যাচের ভাগ্য নিশ্চয় বদলাতে চাইবেন দেশসেরা ওপেনার।
এর আগে দুর্দান্ত শুরুর পরও ইনিংস বড় না করে আউট হয়েছেন সৌম্য সরকার। ইনিংসের শুরুটা ধীর-লয়ে করেছিলেন তামিম ও সৌম্য। প্রথম ৪ ওভারে বাংলাদেশের রান ছিল ৬। ধীরে ধীরে খোলস থেকে বের হতে শুরু করেন দুই ওপেনার। সপ্তম ওভারের শেষ বলে জ্যাক বলের বলে স্কয়ার লেগে মঈন আলীর হাতে ১১ রানে অবশ্য জীবন পান সৌম্য।
কুড়িয়ে পাওয়া সুযোগটা খুব একটা কাজে লাগতে পারেননি বাঁহাতি ওপেনার, আউট হয়েছেন ২৮ রানে। ৩৪ বলে ৪টি চার ও এক ছক্কা মেরে। ৫৬ রানে থামে উদ্বোধনী জুটি। ওয়ানডেতে ইংলিশদের বিপক্ষে এ নিয়ে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি ৫০ পেরোল চতুর্থবার। আগের তিনটি ছিল তামিম-ইমরুলের। এই প্রথম সেটি তামিম-সৌম্যর।
ইংল্যান্ড সফরে এই প্রথম ওয়ানডে খেলতে নামা ইমরুলও টেকেননি খুব বেশি। ২০ বলে ১৯ রান করে উচ্চাভিলাষী শট খেলতে আউট হয়েছেন তিনে নামা ইমরুল। ৯৫ রানে ইমরুলের বিদায়ের পর হাল ধরেছেন তামিম ও মুশফিকুর রহিম। মুশফিক অপরাজিত ২৯ রানে। এই জুটি ৫৫ রানে অবিচ্ছিন্ন।
৮ ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ। রানটা ৩০০-র ওপরে না নিয়ে গেলে ইংল্যান্ডকে চ্যালেঞ্জ জানানো কঠিন হয়ে যাবে। এখন পর্যন্ত অবশ্য বড় সংগ্রহের দিকেই আছে বাংলাদেশ।source:prothom-alo
0 comments:
Post a Comment