৮৬% ব্যাংক ঋণ দুই শহরে সীমাবদ্ধ
ব্যাংক থেকে বিতরণকৃত মোট ঋণের ৮৬ শতাংশ মাত্র দুটি শহরের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এর মধ্যে একটি ঢাকা এবং অন্যটি চট্টগ্রাম। এই সীমাবদ্ধতা বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করবে, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আজ শনিবার রাজধানীর পল্টন টাওয়ারে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) অডিটোরিয়ামে গণমাধ্যম সংস্থা ঘাসফুল আয়োজিত ‘টেকসই উন্নয়নের মূল সূত্র এবং অর্থনীতির মানবাধিকার’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনা সভায় এসব তথ্য উঠে আসে।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দি ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস এর বিশেষ প্রতিনিধি মো. সিদ্দিক ইসলাম। তিনি বলেন, চাকরির পেছনে না ছুটে আমাদের উদ্যোক্তা তৈরির দিকে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। কারণ শুধু চাকরির মাধ্যমে একটি দেশের স্থিতিশীল উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য দেশের ব্যাংক খাতকে সহনশীল হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
আমাদের দেশে অনেক উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি আছে যারা পড়াশোনা শেষে উদ্যোক্তা হতে চায়। কিন্তু টাকার অভাবে কাজ শুরু করতে পারে না। এই জায়গায় তিনি ভারতের উদাহরণ দিয়ে বলেন, তাদেরকে কাজ শুরু করার মতো অর্থ সরবরাহ করা এবং সেই নীতিমালা প্রণয়ন করার দায়িত্ব সরকারের। তবে শুধু নীতিমালা নয় বাস্তবায়নের দিকে জোর দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এর নির্বাহী পরিচালক (গবেষণা) খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, একটি দেশের উন্নয়ন মানে প্রত্যেকটি জনগণের উন্নয়ন। সকলকে মিলেই যে উন্নয়ন হয় সেটাই হলো স্থিতিশীল। বৈষম্য রেখে কখনো এসডিজি বাস্তবায়ন হতে পারে না। এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে অনেকগুলোতেই আমরা ভালো অবস্থানে থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছি। এর মধ্যে দারিদ্র, পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা ও স্বাস্থ্য খাত উল্লেখযোগ্য।
তিনি বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা প্রপ্তি যেমন মানুষের অধিকার, ঠিক তেমনি উন্নয়নও মানুষের মৌলিক অধিকার। এসব সমস্যা সমাধানে আইনের পাশাপাশি এর প্রয়োগ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
২০৩০ সালের মধ্যে স্থিতিশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে সরকারি এবং বেসরকারি হাত একত্রে কাজ করা দরকার। পাশাপাশি দেশের এনজিও প্রতিষ্ঠান যারা প্রান্তিক পর্যায়ে কাজ করে তাদেরকে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়া প্রয়োজন।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এর সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এর নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তফা কে মুজেরী, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সাবেক সভাপতি মনওয়ার হোসাইন, হোয়াইট ক্যাসল হোল্ডিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ ইকবাল আহমেদ, দি ডেইলি নিউ নেশনের সাবেক সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার প্রমুখ।
অর্থসূচক
0 comments:
Post a Comment