-->

পোশাক সম্পর্কে ইসলাম কি বলে ?






লজ্জাশীলতা, ব্যক্তিত্ব, আভিজাত্য ও সভ্যতার পরিচায়ক পোশাক।সেই আদিম আমলেই পোশাক পরিধানের তাগিদ অনুভব করেছিল মানুষ ।সব যুগেই (আদিম থেকে আধুনিক) আছে পোশাকের কদর। হোক না তা সুতায় বোনা কাপড় কিংবা গাছের পাতা । তাইতো লাজুকতায় বশীভূত হয়ে লজ্জাস্থান ঢাকার প্রবণতা প্রাকৃতিক নিয়ম। জন্মগ্রহণ করে মানুষ বিবস্ত্র হয়ে, তবে নগ্নতার চাদর ছুড়ে ফেলে খুব শিগগিরই সে নিজেকে পোশাকের আবরণে ঢেকে ফেলে। স্বভাবজাত এই চেতনাবোধ । ইসলাম মানুষের স্বভাবজাত ধর্ম। কোনো নির্দেশনা ইসলামে নেই ফিতরতের চাহিদার বিপরীরিতে। সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে ইসলামে পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে । আরবিতে পোশাককে ‘লিবাস’ বলা হয়। এর অর্থ পরিহিত বস্তু বা যা পরিধান করা হয়।


যা মানুষের সতর ঢেকে দেয়, লজ্জাস্থানকে আবৃত করে ফেলে ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায় তাকে লেবাস ও পোশাক বলা হয়, । ‘রদ্দুল মুহতারে’ ফিকাহশাস্ত্রের সুপ্রসিদ্ধ গ্রন্থে বলা হয়েছে, ”পোশাক তাকেই বলা হয়, যা লজ্জাস্থানকে ঢেকে রাখে।“ ন্যূনতম এতটুকু পরিমাণ পোশাক পরিধান করা ফরজ। পোশাকের এ সংজ্ঞা বোঝা যায় কোরআনের ভাষ্য থেকেও । কোরআন বলছে- “এ পোশাক তোমাদের লজ্জাস্থান আচ্ছাদিত করে ফেলে।“ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ২৬)

উল্লেখিত আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, ইসলামী শরিয়তে পোশাক বলতে ঐ বস্ত্রখণ্ডকে বোঝায়, যা লজ্জাস্থান ঢেকে ফেলে।ইসলাম এমন বস্ত্রকে পোশাক বলেই স্বীকৃতি দেয় না, যে পোশাক লজ্জাস্থানকে পুরোপুরি আবৃত করে না কিংবা এতই সূক্ষ্ম, মসৃণ, পাতলা ও সংকীর্ণ হয় যে এর ফলে ঢেকে রাখা অঙ্গ স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হয় । এরই সঙ্গে আরেকটি জরুরি বিষয় হলো, পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে ইসলামের সীমারেখা কিছুতেই অতিক্রম করা যাবে না। পোশাকের গুণ-বৈশিষ্ট্য,রং,পরিধানের ধরন ও পদ্ধতিতে যেসব বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে, সেগুলোর ব্যত্যয় কিছুতেই ঘটানো যাবে না। তখনি ইসলামসম্মত পোশাক বলে পরিগণিত হবে যখন ইসলামের আরোপিত বিধি-নিষেধ যথাযথভাবে অনুসরণ করে পোশাক পরিধান করা হয়।

ইসলামী পোশাকের বৈশিষ্ট্যঃ

মানুষের জন্য ইসলাম যে পোশাক মনোনীত করেছে, তার বিশেষ গুণ-বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সংক্ষেপে বলা যায়, ইসলামসম্মত পোশাক বলতে সেই পোশাককে বোঝায়, যা লজ্জাস্থান আবৃতকারী, মানানসই, সাদৃশ্যবর্জিত, ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ, বিলাসিতাবিবর্জিত, অহংকারমুক্ত, পরিচ্ছন্ন এবং (পুরুষের বেলায়) সেটি লাল, জাফরান, উসফুর (এক ধরনের গুল্ম, যা থেকে হলুদ রং পাওয়া যায়) ও ওর্স (এক ধরনের রঙের গাছ) ইত্যাদি রঙের হতে পারবে না।

ইসলামসম্মত পোশাকের জন্য কিছু রূপরেখা রয়েছে।

এক.
সতর আবৃতকারী হতে হবে পোশাকটি । যে পোশাক সতরের অঙ্গগুলো পুরোপুরি ঢেকে ফেলে সে পোশাককে সতর আবৃতকারী পোশাক বলে। কাপড় এমন মসৃণ ও পাতলা হতে পারবে না, যাতে পোশাকের অভ্যন্তরের অঙ্গ দেখা যায়। কাপড় ঢিলাঢালা হওয়া উচিত। শর্টকাট, আঁটসাঁট পোশাক বিবস্ত্রতার নামান্তর।

দুই,
জুতসই, মানানসই পোশাক পরিধানই ইসলামের দাবি। পোশাক শালীন, সৌজন্যের পরিচায়ক ও সৌন্দর্যমণ্ডিত হওয়া চাই। হাদিস শরিফে এসেছে : “আল্লাহ সুন্দর। তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন।“ (মুসলিম শরিফ, হাদিস : ৯১)

এক সাহাবি মহানবী (সা.)-কে জিজ্ঞেস করেন, “আমার শখ হলো, আমার কাপড় উন্নতমানের হোক, আমার জুতা জোড়া অভিজাত হোক”—এটা কি অহংকারপ্রসূত? রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহ সৌন্দর্য পছন্দ করেন (সৌন্দর্যের প্রকাশ অহংকার নয়)। তবে ওই ব্যক্তি অহংকারী, যে সত্যের সামনে ঔদ্ধত্য দেখায় আর মানুষদের তুচ্ছজ্ঞান করে, অবজ্ঞা করে।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৪৭)

তিন.
পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে অন্যের সাদৃশ্য বর্জন করা। তিনটি বিষয়ে সাদৃশ্য অবলম্বনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

০১. কাফির-মুশরিকদের পোশাক গ্রহণ করা যাবে না।

০২. ফাসেক-পাপাচারীদের মতো পোশাক পরিধান করা যাবে না।

০৩. বিপরীত লিঙ্গের মতো পোশাক ধারণ করা যাবে না।

অর্থাৎ পুরুষের জন্য নারীদের মতো আর নারীদের জন্য পুরুষের মতো পোশাক পরিধান করা জায়েজ নয়।

চার.
রেশমি কাপড় পরিধান করা যাবে না ( পুরুষদের জন্য প্রযোজ্য )। তবে নারীদের জন্য রেশমি কাপড় পরিধান করা বৈধ। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন : “আমার উম্মতের পুরুষদের জন্য রেশমি কাপড় এবং স্বর্ণ ব্যবহার করা হারাম” কিন্তু নারীদের জন্য তা হালাল।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৭২০)

পাঁচ.
লাল রঙের পোশাক হতে পারবে না ( পুরুষদের জন্য প্রযোজ্য )। এটি মাকরুহ। তবে হালকা লাল রঙের পোশাক পরিধান করা বৈধ। (রদ্দুল মুহতার : ৬/৩৫৮, কাশফুল বারি : কিতাবুল লেবাস : ২০৯)

ছয়.
উসফুর, জাফরান ও ওরস রঙের পোশাক হতে পারবে না। এক ধরনের হলুদ রঙের ফুল হল উসফুর, যা পানিতে মিশ্রিত করে কাপড় রঙিন করা হয়। এর প্রচলন ছিল আরবে। ওরসও একটি ফুলের নাম, যা কাপড় রঙিন করার কাজে ব্যবহৃত হয়। তবে এমন পোশাক পরিধানের নিষেধাজ্ঞাও শুধু পুরুষদের জন্য।
 


সাত.
বিলাসিতা পরিহার’ করতে হবে। কাফিরদের অভ্যাস হচ্ছে সীমাতিরিক্ত বিলাসিতার গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেওয়া । মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন : “বিলাসিতা পরিহার করো, আল্লাহর নেক বান্দারা বিলাসী জীবন যাপন করে না।“ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২২১০৫)

আট.
অপচয় ও অহংকার থেকে বেঁচে থাকতে হবে পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে । এ বিষয়ে উদাসীনতা কাম্য নয়। কোরআন ও হাদিসে কঠোর নিষেধাজ্ঞা এসেছে এ বিষয়ে । আল্লাহ তাআলা বলেন : “হে আদম সন্তান! যখন তোমরা মসজিদে আসবে, তখন নিজেদের সৌন্দর্য প্রকাশক বস্তু (পোশাক) নিয়ে এসো। আর অপচয় কোরো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না।“ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৩১)

নয়. .
অপচয় যেমন নিন্দনীয়, কৃপণতাও অনুরূপ নিন্দনীয়। তাই পোশাক পরিধান করা উচিত নিজের ব্যক্তিত্ব ও সামর্থ্য অনুসারে। এ বিষয়ে মহানবী (সা.) ইরশাদ করেন : “আল্লাহ বান্দাকে যে নিয়ামত দিয়ে সিক্ত করেছেন, তার প্রভাব-প্রতিরূপ তিনি বান্দার মধ্যে দেখতে ভালোবাসেন।“

এক সাহাবি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর দরবারে নিম্নমানের পোশাক পরিধান করে উপস্থিত হন। এটা দেখে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমার কি অর্থকড়ি, সহায়-সম্পত্তি নেই?’ সাহাবি বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে তো আল্লাহ অঢেল সম্পত্তি দান করেছেন।’ তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন : ‘আল্লাহ প্রদত্ত সম্পদ তোমার শরীরে দৃশ্যমান হওয়া উচিত।’ (তাবারানি কাবির : ১৯/৯৭৯)

দশ.
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি ইসলাম সবিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, পরিপাটি ও সুন্দরভাবে জীবনযাপন ইসলামের শিক্ষা। বিশেষত, রাসুলুল্লাহ (সা.)পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধানের প্রতি বিশেষ তাগিদ দিয়েছেন। এক ব্যক্তির মাথায় অগোছালো ও এলোকেশ দেখে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘এই ব্যক্তি কি কোনো কিছু (তেল ইত্যাদি) খুঁজে পায় না, যা তার চুলগুলোকে জমিয়ে রাখে, গুছিয়ে রাখতে সহযোগিতা করে?’

ময়লাযুক্ত কাপড় পরিহিত অন্য একজনকে দেখে তিনি বলেছেন : ‘তার কী কিছু নেই, যা দিয়ে সে নিজের কাপড়চোপড় ধুয়ে নিতে পারে?’

পোশাক-পরিচ্ছদের বিষয়ে ইসলামের আটটি নির্দেশনা ঃ

পোশাক পরিধানে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা: আল্লাহ তাআলার দেওয়া এক বড় নিয়ামত হচ্ছে পোশাক-পরিচ্ছদ। তাই পোশাক পরিধানে প্রতিটি বান্দার উচিত আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা।

আল্লাহর রাসুল (সা.) যখন কোনো নতুন কাপড় পরিধান করতেন তখন আল্লাহর কৃতজ্ঞতাস্বরূপ এই দোয়া পাঠ করতেন,

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু কামা কাসাওতানিহি, আসআলুকা খইরাহু ওয়া খইরা মা সুনিআ লাহু, ওয়া আউজুবিকা মিন শাররিহি ওয়া শাররি মা সুনিআ লাহু।

অর্থ: হে আল্লাহ! তোমারই প্রশংসা। তুমিই আমাকে এই পোশাক পরিয়েছ। আমরা তোমার কাছে এই কাপড়ের কল্যাণ ও উপকারিতা প্রার্থনা করি এবং এর অকল্যাণ ও অপকারিতা থেকে তোমার আশ্রয় চাই। ’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৭৬৭)

সতর আবৃত করা: পোশাক-পরিচ্ছদ এমন হতে হবে, যা পুরো সতর আবৃত করে। পুরুষের জন্য নাভি থেকে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত আর নারীর পুরো শরীর সতর। পোশাকের মূল উদ্দেশ্যই সতর ঢাকা। পোশাক প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে আদম সন্তান! আমি তোমাদের জন্য অবতীর্ণ করেছি পোশাক, যা তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করে এবং সৌন্দর্য দান করে। ’ (সুরা: আরাফ, আয়াত: ২৬)

সুতরাং যে পোশাক এই উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ, তা যেন শরিয়তের দৃষ্টিতে পোশাকই নয়!

নারী-পুরুষ স্বতন্ত্র পোশাক পরিধান করা: হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুল (সা.) অভিসম্পাত করেছেন ওই পুরুষকে যে নারীর পোশাক পরে এবং ওই নারীকে যে পুরুষের পোশাক পরে। (আবু দাউদ, হাদিস: ৪০৯৮)

খ্যাতির আশায় পোশাক না পরা: প্রতি ঈদ বাজারে পোশাক কারখানাগুলো পরিচিত মডেল এবং টিভি সিরিয়ালের নামে বাহারি পোশাক বাজারজাত করে থাকে। আর উঠতি ছেলে-মেয়েদের এসব পোশাকের প্রতি থাকে বাড়তি আগ্রহ। অথচ রাসুলুল্লাহ (সা.) এসব পোশাক না পরার ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়াতে প্রসিদ্ধির পোশাক পরবে আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের দিন তাকে লাঞ্ছনার পোশাক পরাবেন। অতঃপর তাকে অগ্নিদগ্ধ করা হবে। ’ (আবু দাউদ, হাদিস: ৪০২৯)

পোশাক পরিধানে কৃপণতা না করা: অপচয় ও কৃপণতা সর্বক্ষেত্রেই নিন্দনীয়। পোশাক-পরিচ্ছদেও এর ব্যতিক্রম নয়। সামর্থ্য থাকার পরও কেউ যদি কৃপণতা করে নিম্নমানের পোশাক পরিধান করে ইসলামে তাদের অপছন্দ করা হয়েছে। একবার আবুল আহওয়াসের পিতা মালিক বিন আউফ রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এলেন। তখন তাঁর পরনে ছিল অতি নিম্নমানের পোশাক। তিনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার কি সম্পদ আছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করেন, কী সম্পদ আছে? আমি বললাম, সব ধরনের সম্পদই আল্লাহ আমাকে দান করেছেন। উট, গরু, ছাগল, ঘোড়া, গোলাম ইত্যাদি। তখন তিনি ইরশাদ করলেন, ‘যখন আল্লাহ তাআলা তোমাকে সম্পদ দিয়েছেন তখন তোমার ওপর তাঁর নিয়ামতের ছাপ থাকা চাই। ’ (নাসাঈ, হাদিস: ৫২৯৪)

পরিষ্কার ও পরিপাটি রাখা: পোশাক-পরিচ্ছদ দ্বারা সতর আবৃত করার পাশাপাশি নিয়মিত পরিষ্কার-পরিপাটি রাখা ইসলামের নির্দেশনা। সাহল বিন হানজালিয়া (রা.) বলেন, কোনো এক সফর থেকে ফেরার পথে রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর প্রিয় সাহাবাদের লক্ষ করে বলেন, ‘তোমরা তোমাদের ভাইদের কাছে আগমন করছ। সুতরাং তোমাদের হাওদাগুলো গুছিয়ে নাও এবং তোমাদের পোশাক পরিপাটি করো, যাতে তোমাদের (সাক্ষাৎ করতে আসা) মানুষের ভিড়ে তিলকের মতো (সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন) মনে হয়। (জেনে রেখো) আল্লাহ তাআলা স্বভাবগত নোংরামি বা ইচ্ছাকৃতভাবে নোংরা থাকা, কোনোটাই পছন্দ করেন না। ’ (আবু দাউদ, হাদিস: ৭০৮৩)

প্রদর্শনের মানসিকতা পরিহার করা: অহংকার বা মানুষ দেখানোর মানসিকতা সর্বাবস্থায় সকল কাজেই নিন্দনীয়। পোশাক-পরিচ্ছদের মাধ্যমেও যেন এই ব্যাধি মানুষের অন্তরে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়েও হাদিস শরিফে বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। এক হাদিসে নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি অহংকারবশত মাটিতে কাপড় টেনে টেনে চলে আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের দিন তার দিকে দৃষ্টিপাত করবেন না (রাগান্বিত থাকবেন)। (বুখারি, হাদিস: ৫৭৯১)

বিধর্মীদের পোশাক না হওয়া: বিধর্মীদের অনুকরণে পোশাক পরিধান করা নাজায়েজ। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি অমুসলিমদের পোশাক পরবে সে আমার দলভুক্ত নয়। ’ (তবারানি আওসাত, হাদিস: ৩৯২১)

আল্লাহ তাআলা আমাদের পোশাকের প্রতি যত্নবান হওয়ার তাওফিক দান করুন।





Add your comment Hide comment