মা জুলিয়া মার্থার মাথা আঁকড়ে ধরা অবস্থায় সেই শিশু সন্তান। |
বিশ্বে কত রকম বিচিত্র ঘটনার খবরই না আমরা শুনতে পায়! সমস্ত ঘটনার কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও সব সময় মেলে না। তেমনই অবিশ্বাস্য এক ঘটনা ঘটেছে চিনের হংকং এর কুইনস এলিজাবেথ হাসপাতালে। সেখানে প্রসব করা সন্তানের আকুল কান্নায় মৃত্যুর চার ঘণ্টা পরে বেঁচে উঠলেন সেই সন্তানের মা।
সেই মায়ের নাম জুলিয়া মার্থা। তার শরীরে গর্ভাবস্থাতেই কিছু জটিলতা দেখা গিয়েছিল। ডাক্তাররা আশঙ্কা করেছিলেন, সন্তান প্রসবের সময়ে তার অথবা তার সন্তান কোনও এক জন মারা যেতে পারে।
পরে সুস্থ সন্তান প্রসব করেন জুলিয়া। কিন্তু সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরেই হৃদস্পন্দন স্তব্ধ হয়ে যায় তার। ডাক্তাররা যে আশঙ্কা করেছিলেন, ঠিক সেটাই ঘটে। সন্তান প্রসবের পর জুলিয়া মারা যান।
এদিকে জন্মের পর থেকেই ক্রমাগত কেঁদে চলেছিল জুলিয়ার সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া পুত্রসন্তানটি। ডাক্তাররা নানাভাবে বাচ্চাটিকে চুপ করানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু নবজাতকটি অনবরত কান্না করতে থাকে। এসময় ডাক্তার ও নার্সদের মনে হয়, মায়ের শরীরের সান্নিধ্য পেলে হয়তো শিশুটি চুপ করতে পারে। হাসপাতালের কর্মীরা শিশুটিকে নিয়ে যান মায়ের মৃতদেহের কাছে। শিশুটি নিজের ছোট্ট দু’টি হাতে আঁকড়ে ধরে চার ঘণ্টা আগে মৃত মায়ের মুখ। আর তার পরেই ঘটে এক অবিশ্বাস্য ঘটনা।সামনে উপস্থিত ডাক্তার ও নার্সরা পরম বিস্ময়ের সঙ্গে দেখেন, শিশুটির আকুল কান্নার শব্দে ধীরে ধীরে হৃদস্পন্দন ফিরে আসছে জুলিয়ার দেহে। একটু পরে চোখ খোলেন তিনি। ফিরে পান জীবন। ততক্ষণে শিশুটির কান্না থেমে গেছে।
কিন্তু কী ভাবে ঘটল এমন বিস্ময়কর ঘটনা?
হাসপাতালের গাইনোকলরজি বিভাগের প্রধান ডাক্তার পিটার অরল্যান্ডো জানান, প্রসবকালীন শক এবং যন্ত্রণা জুলিয়ার হৃদস্পন্দন কয়েক ঘণ্টার জন্য স্তব্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু তখনও তার মস্তিস্ক জীবিত ছিল। সন্তানের কান্না সেই মস্তিস্কের কাজ করলে সচল হয় জুলিয়ার হৃদপিণ্ড। তিনি বলেন, তবে বেশিক্ষণ জুলিয়ার হৃদপিণ্ড স্তব্ধ থাকলে হয়তো তাকে আর বাঁচানো যেত না।source :dainikamadershomoy.com
0 comments:
Post a Comment