নারিকেল তেলের উপকারিতা কী? নারিকেল তেলের ১০ গুণ জেনে নিন




নারিকেল তেল হচ্ছে এমন একটি খাবার যাকে বলা হয় ‘সুপার ফুড’। এর মধ্যে ফ্যাটি এসিডের চমৎকার সমন্বয় রয়েছে। নারিকেল তেল মস্তিষ্কের কার্যক্রম ভালো রাখে, বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এর রয়েছে আরও অনেক স্বাস্থ্যকর গুণ।

ওষুধ হিসেবে :

নারিকেল তেলকে আগে তেমন উপকারী বলা হতো না কারণ এর মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে। মূলত নারিকেল তেল হলো স্যাচুরেটেড ফ্যাটের একটি বড় উৎস, যার মধ্যে ৯০ শতাংশ ফ্যাটি এসিড সংযুক্ত রয়েছে। তবে নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ক্ষতিকারক নয়। নারিকেল তেলের মিডিয়াম চেইন ফ্যাটি এসিড ভিন্নভাবে বিপাক হয়। এটা মস্তিষ্কের অসুখ আলঝাইমার প্রতিরোধ করে, দ্রুত শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। লিভারের ডাইজেসট্রিভ ট্যাক্ট ভালো রাখে।

সংক্রমণ প্রতিরোধ করে :

নারিকেল তেলের ফ্যাটি এসিডে ৫০ শতাংশ ১২-কার্বন লিউরিক এসিড থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসকে দূর করে সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে।

হৃদরোগে :

অনেকেই মনে করেন নারিকেল তেল হার্টের জন্য ভালো নয়। এর কারণ হলো এর মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে। তবে গবেষকরা বলছেন, নারিকেল তেল হার্টের জন্য ক্ষতিকারক নয়। এর মধ্যে থাকা ৫০ শতাংশ লিউরিক এসিড হৃদরোগ হওয়ার অনেক কারণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। যেমন- উচ্চ কোলেস্টেরল , উচ্চ রক্তচাপ। নারিকেল তেল সবজির তেলের মতোই। নারিকেল তেল ক্ষতিকর কোলেস্টেলের মাত্রা বাড়ায় না। এটা অ্যাথেরোসক্লেরোসিস প্রতিরোধ করে।

ত্বকের যত্নে :

ত্বক ম্যাসাজের জন্য নারিকেল তেল সব সময় ভালো। এটা সব ধরনের ত্বকে খুব ভালো ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে, এমনকি শুষ্ক ত্বকেও। ত্বকের বলিরেখা এবং ত্বক ঝুলে পড়া রোধে সাহায্য করে। সোরিয়াসিস, ডারমাটাইটিস, অ্যাকজিমা এবং ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। ত্বকের যতেœ ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী তৈরিতে নারিকেল তেল ব্যবহার করা হয়। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান থাকার কারণে এই তেল অকাল বার্ধক্য রোধেও কার্যকর।

ওজন কমাতে : 

 ওজনাধিক্য পৃথিবীর একটি বড় সমস্যা। নারিকেল তেল ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। এর মধ্যে রয়েছে ছোট এবং মধ্যম চেইনের ফ্যাটি এসিড যা, বাড়তি ওজন দূর করতে সাহায্য করে। এটা হজমে সাহায্য করে এবং থাইরয়েড ও এন্ডোক্রাইন পদ্ধতির কার্যক্রম ভালো রাখে। মোটা মানুষদের ক্ষেত্রে ওজন কমাতে সাহায্য করে এটি। বিভিন্ন উপকূলবর্তী এলাকার লোকেরা রান্নায় নিয়মিত নারিকেল তেল ব্যবহার করেন।

রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় :

নারিকেল তেল রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। অ্যান্টিমাইক্রোবাইয়াল লিপিডস, ল্যাউরিক এসিড, ক্যাপরিক এসিড এবং ক্যাপরিলিক এসিড যার মধ্যে অনেক রোগ প্রতিরোধক্ষমতা রয়েছে।

হজমে সাহায্য করে :

 রান্নায় নারিকেল তেল ব্যবহার করা যায়। এটি পরিপাক ক্ষমতাকে ভালো রাখে। এ ছাড়া পাকস্থলি এবং পরিপাক সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধ করে।

ডায়াবেটিস :

নারিকেল তেল রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ইনসুলিন নিঃসরণে সাহায্য করে। এটা রক্তের গ্লুকোজকে ভালোভাবে ব্যবহারে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।

হাড়ের সুরক্ষায় :

নারিকেল তেলে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম, যা হাড় ভালো রাখে। মধ্য বয়সে অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।

দাঁতের যত্নে :

নারিকেল তেলের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, যা দাঁতের জন্যও ভালো। এটি ক্ষয় রোধ করে দাঁতকে মজবুত রাখে। তবে যে কোনো খাবার নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখার আগে আপনার শরীরের অবস্থা বুঝে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
source:bdhealth

0 comments:

Post a Comment