Cholesterol:কোলেস্টেরলের রোগীরা গরমে রোজ খাবেন এই ৬ ধরনের খাবার, যা তাদের হার্টের সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে

Cholesterol

আপনি যদি মনে করেন যে, শুধুমাত্র শীতকালে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে, তবে আপনি মিথ্যা ধারণায় আছেন। গরমকালেও কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে পারে। আর কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় ' ডায়েটে। ফ্যাট এবং ক্যালোরি যুক্ত খাবার পরিহার করলেই কোলেস্টেরলের নিয়ন্ত্রণে কিছুটা উপকার হতে পারে।

 

ডায়াবেটিস, প্রেশারের মতো কোলেস্টেরলের রোগীও এখন ঘরে ঘরে বেড়েছে | কোলেস্টেরলের বাড়বাড়ন্ত হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। তবে আপনি যদি মনে করেন যে, শুধুমাত্র শীতকালে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে, তাহলে ভুল বুঝছেন। গরমেও বাড়তে পারে কোলেস্টেরলের মাত্রা। আর কোলেস্টেরলকে বশে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় হল ডায়েট। ফ্যাট ও ক্যালোরি যুক্ত খাবার এড়িয়ে চললেই কোলেস্টেরলের হাত থেকে কিছুটা রেহাই পেতে সাহায্য হয়। তবে কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে, রোজ ৬টি পরিমাণে খাবার খেতে হবে।

 

ওটস: ওটসে অধিক পরিমাণে ফাইবার থাকে। ওটস পেটের অংশে পিত্ত অ্যাসিডের সাথে মিশে যায় এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নির্ধারণে সহায়ক হয়। অপ্রয়োজনীয় কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় ওটস।

 

ফ্ল্যাক্স সিড: সকালে পানি দিয়ে ফ্ল্যাক্স সিড ভেজানো জল পান। ফ্ল্যাক্স সিডে লিগনান ছাড়া আরও অনেক গুণাবলী রয়েছে। এটি একটি সম্প্লেক্স কার্বোহাইড্রেট, যা শরীরে ইস্ট্রোজেনের মতো কাজ করে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

 

বাদাম: কোলেস্টেরলের রোগীদের জন্য উপযোগী এমন বাদাম হল আখরোট, আমন্ড, কাজু, চিনেবাদামের মতো। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়ক ফাইবার, ভিটামিন মিনারেল ধারণ করে। প্রতিদিন বাদাম খালে কোলেস্টেরল মাত্রা কমানো সম্ভব হয়।

 

অলিভ অয়েল: যখন কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে, তাহলে রান্নার জন্য তেলের পরিমাণ কমাতে পারেন। উচ্চ ফ্যাট যুক্ত তেল ব্যবহার করা উচিত নয়। আপনি রান্নার জন্য অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন, যা খারাপ কোলেস্টেরল মাত্রা কমিয়ে সুস্থ কোলেস্টেরল মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।

 

ডাল: যখন কোলেস্টেরল বাড়ে, তখন ডালকে ডাইট থেকে বাদ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। প্রোটিনের পাশাপাশি, ডাল ফাইবারের ধারণকারী উৎস। কোলেস্টেরল পরিমাণ কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে তোলে ডাল। মুগ, মুসুর থেকে শুরু করে রাজমা, কাবুলি চানা সহ সব ধরনের ডাল খেতে পারেন।

 

মাছ: কোলেস্টেরল বৃদ্ধি হলে অনেকে মনে করতে পারেন না যে মাছ খাওয়া উচিত কিনা। সামুদ্রিক মাছে ওমেগা- ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে মাছ রাখলে উপকার হয়।


সংবাদ উৎস:tv9bangla

0 comments:

Post a Comment