কাঠবাদাম |
কাঠবাদাম আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাদ্য উপাদান। সকালে বা সন্ধ্যার টিফিনে একটু কাঠবাদাম খেলে শরীর ও মন চাঙ্গা থাকে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, কাঠবাদাম কি খোসা সমেত খাওয়া উচিত, নাকি খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া ভালো? এই প্রশ্নে অনেকেই দ্বিধায় পড়েন, কারণ দুটি উপায়েই এটি খাওয়া যায়। চলুন, জেনে নেই কোনটি বেশি উপকারী।
কাঠবাদামের পুষ্টিগুণ
কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদানগুলো শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং চুল, ত্বক, ও হাড়ের গঠন মজবুত করে।
খোসাসহ খাওয়া: কি লাভ?
কাঠবাদামের খোসাতে থাকে পলিফেনল নামে একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরে ফ্রি র্যাডিকাল দূর করে এবং বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, কাঠবাদামের খোসায় থাকা পলিফেনল আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধেও সহায়ক হতে পারে। তাই খোসাসহ খেলে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পূর্ণ সুবিধা পাওয়া যায়।
খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া: কবে ভালো?
অনেকের মতে, কাঠবাদাম খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া ভালো, কারণ খোসাটি কিছুটা শক্ত ও একটু তিক্ত স্বাদের হতে পারে। বিশেষত শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া নিরাপদ ও সহজ হতে পারে। এছাড়াও, কিছু মানুষ খোসা ছাড়িয়ে খাওয়ার পর তা সহজে হজম করতে পারেন। যাদের হজমে সমস্যা আছে, তারা খোসা ছাড়িয়ে কাঠবাদাম খেতে পারেন। তবে খোসা ছাড়ানোর আগে কিছুক্ষণ কাঠবাদাম পানিতে ভিজিয়ে রাখলে এটি নরম হয় এবং হজম করা সহজ হয়।
কোনটা বেশি উপকারী?
যদি আপনি সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ পেতে চান এবং হজমে কোনো সমস্যা না থাকে, তবে খোসাসহ কাঠবাদাম খাওয়া বেশি উপকারী। এতে কাঠবাদামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সম্পূর্ণ সুবিধা পাওয়া যায়। তবে যদি খোসা চিবানো কঠিন মনে হয় বা তিক্ত লাগে, তাহলে খোসা ছাড়িয়ে খাওয়াও কোনো ক্ষতি করে না।
সংক্ষেপে বলতে গেলে, কাঠবাদাম খোসাসহ এবং খোসা ছাড়িয়ে - দুইভাবেই উপকারী। আপনার সুবিধা ও পছন্দমতো পদ্ধতিতে কাঠবাদাম খেতে পারেন। তবে সব থেকে ভালো হলো এটি নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখা, কারণ এটি আপনার শরীরের জন্য এক দারুণ পুষ্টিকর উপাদান।
0 comments:
Post a Comment