শরীরের তাপমাত্রা |
শরীরের তাপমাত্রা নিয়ে আমাদের সাধারণ ধারণা হলো জ্বর বা সর্দিজ্বর হলে তাপমাত্রা বাড়ে। তবে সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, আমাদের শরীরের তাপমাত্রা শুধুমাত্র অসুখ নয়, মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কেও নানা তথ্য দিতে পারে। বিশেষ করে অবসাদ বা মানসিক চাপের মতো সমস্যাগুলির ক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রার কিছু পরিবর্তন লক্ষ করা যেতে পারে।
কিভাবে তাপমাত্রা ও মানসিক অবস্থা সম্পর্কিত?
আমাদের শরীরের অভ্যন্তরীণ সিস্টেমের কাজ হলো বিভিন্ন মানসিক ও শারীরিক অবস্থার প্রতিক্রিয়া হিসেবে সাড়া দেওয়া। যখন আমরা চাপগ্রস্ত, হতাশ, বা অবসাদগ্রস্ত থাকি, তখন মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের ওপর এর প্রভাব পড়ে। এক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা একটু বৃদ্ধি পেতে পারে বা কখনও কখনও নিম্নমুখী হতে পারে। মানসিক চাপের ফলে শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা তৈরি হতে পারে, যা অবসাদ বা উদ্বেগের একটি সূচক হতে পারে বলে চিকিৎসকেরা মনে করেন।
গবেষণা কি বলছে?
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দীর্ঘদিন ধরে ক্লান্তি বা অবসাদের শিকার, তাদের শরীরের তাপমাত্রা সাধারণের তুলনায় সামান্য বেশি থাকে। এছাড়াও, দীর্ঘদিনের অবসাদে শরীরের বিভিন্ন হরমোন যেমন কর্টিসল এবং অ্যাড্রেনালিনের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে, যা শরীরের তাপমাত্রা সামান্য পরিবর্তন করতে পারে। এধরনের তাপমাত্রার পরিবর্তন খুব ছোট হলেও, তা অবসাদের একটি সম্ভাব্য ইঙ্গিত হতে পারে।
অবসাদ কমানোর উপায় কী?
অবসাদ কমাতে প্রথমেই প্রয়োজন মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া। মেডিটেশন, শারীরিক ব্যায়াম, ও পর্যাপ্ত ঘুম অবসাদের প্রভাব কমাতে সহায়ক হতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, অবসাদের লক্ষণ দেখতে পেলে যত দ্রুত সম্ভব সঠিক চিকিৎসা নেওয়া জরুরি। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করুন স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও সঠিক জীবনযাপন মেনে চলতে।
শরীরের তাপমাত্রা আমাদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার কিছু দিক তুলে ধরে। যদিও এটি অবসাদের সরাসরি সূচক নয়, তবে তা শরীরের মনের প্রতি সাড়া দিতে পারে। তাই নিজেদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হওয়া জরুরি।
0 comments:
Post a Comment